রাজীব সিংহ
সুকিয়া স্ট্রিট
পুজোর আগে কোনও কোনও দিন এভাবেই বৃষ্টিভেজা আটকে পড়তো সুকিয়া স্ট্রিটে
অথবা হেদুয়ার দিকে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ স্ট্রিটের কোনও আটপৌরে বাড়ির দোতলায়
মাইল মাইল পথ পেরিয়ে বাংলা সাহিত্য এসেছে এইখানে
গালি-প্রুফ আর কফিহাউসের ঘূর্ণায়মান ফ্যানের টেবিলে
প্রেমিকার মতোন বান্ধবীরা ইশারায় ডাকে রোগা গলিপথে
চক্রবৎ সিগারেট, আলোছায়া ঘেমো শরীরে মরুভূমির শূণ্যতা
প্রেমচিঠি অথবা প্রার্থিত চুম্বনের পরিবর্তে তারা নিজেদের কবিতা গুঁজে দেয় সর্বত্র,
একশিরা হাইড্রোসিল অথবা শীঘ্র পতনের পোস্টার জড়ানো টয়লেটে
তুমি সাবধানী, সাবধানী প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটের উল্টোদিকের ফুটপাথে
এমনকী ধোঁয়া-ওঠা ভাঁড়ের চায়েও—
প্রলম্বিত ছায়া রাস্তায় ছড়িয়ে পাখিরা উড়ে যেতে চেয়েছিল রেডরোডের দিকে
অথবা আমেরিকান সেণ্টার লাইব্রেরির দোতলায়
প্রেমিকার মতোন বান্ধবীরা পাগলের সঙ্গ করো বাউলের সঙ্গ করো বলে
চলে যেতে চেয়েছিল সিমোন দ্য বোভোয়া মল্লিকা সেনগুপ্ত অথবা তসলিমা নাসরিনের বাড়ি
কবিতা সিংহ অবাক হয়ে দেখছিলেন এসব, সবকিছু
বাতাসের অগ্রিম বারতা শুধু শুনতে পেয়েছিলেন পিডিজি, প্রণবেন্দুবাবু,
আলোবাতাসের এই নৈসর্গিক জ্যামিতি আঁকবার কথা কবির ছিল না—
বান্ধবীর মতোন প্রেমিকারা একমাত্র উৎপলকুমার বসুকে এসেমেস করেছিলেন
কবি কালীকৃষ গুহ কবিতা নয়, চতুর্দিকে শুধু রাশিরাশি প্রবন্ধ দেখতে পেয়েছিলেন
অনেক অনেকদিন পরে কবি সুকিয়া স্ট্রিটে ফিরেছেন আজ