অভিমন্যু মাহাত
চক্রব্যূহ
সুতরাং তুমি আমায় নির্বাসন দাও,
ঢেউকণিকার রাত দাবি করিনি।
দেওয়াল হাতড়ে হাতড়ে নিজস্ব এপিটাফে আসি
লেখার মতো বেআব্রু দাম্পত্য আর নুনভাত নেই।
তুমি ছিলে, হাহাকারে স্পর্শ করি নুড়িপাড়ায়
নিষেধ অগ্রাহ্য করে বাঁটা হলুদের প্রবণতা খুঁজি।
আর কতদিন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বেঁচে থাকবো?
সুতরাং তুমি আমায় নির্বাসন দাও,
জড়ুলচিহ্ন দাবি করিনি।
নষ্ট জলের ঘোর ধ্বনিত হচ্ছে,
ওলটপালোট বিকেল আসছে।
এই চোখ পোড়াব বলে অনাত্মীয়তা খুঁজি,
সকলের সাথে আড়ি।
আদ্র বাতাসে বুকের ভেতর পাতাল ঝরছে,
দিকে দিকে চক্রব্যূহ…..
প্রতারক
আমার অনুরোধ আর তোমার অনুরোধ আজকাল ত্রিশূলে চাপে। কত বাক বিতণ্ডা। হয়তো তোমার আগের ‘হাহাকার টান’ বেঁচে নেই। কোনদিনই ছিল না… জেনেছি। আমার অনুরোধ, প্রত্যাশা ছিটকে যায়… গড়াগড়ি খায় ধুলো রাস্তায়। বাতাসে জ্বলে তোমার হুঙ্কার। যতটা আমি ভালোবাসি পুরুল্যায়, ঠিক ততটা পারি না কৃষ্ণনগরে। কোন গান বাজে না ছেঁড়া মাদুরে। ঢাকা দিতে হয় আরও একটা দুঃখী কাঁথা। আমার উত্তেজনায় তুমি সাড়া দাও না। শরীর দেব, মন দেব না বলে দরজা খুলে চলে যেতে চাও। তুমি অনশন পণে আর কতদিন? তুমি চলে গেলে আমাদের গ্রামে বৃষ্টি হবে না। তুমি নতুন পুরুষকে খুঁজে, যাবে সঙ্গতে। আমি যাব ছৌ আখড়ায়। অতীতের খুনি আমি। মারাংবুরু শুনে গেলেন, ম্লান হয়ে থাকলেন। ছৌয়ের তালে তোমায় রুষ্ট করতে পারিনি, আমিই প্রতারক।