সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৯৬ সংখ্যা
গূঢ় ইশারায় বর্তমান সময়কে ধরেছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী, জীবন ও জ্বরের কেন্দ্রভূমিতে দাঁড়িয়ে তুলে এনেছেন মহাজীবনের সারাৎসার।
গূঢ় ইশারায় বর্তমান সময়কে ধরেছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী, জীবন ও জ্বরের কেন্দ্রভূমিতে দাঁড়িয়ে তুলে এনেছেন মহাজীবনের সারাৎসার।
অতীত এবং বর্তমান জীবনের নানান ছবি নিয়ে নারায়ণচন্দ্র দাস রচনা করেছেন কবিতার এই মিউজিয়াম। দু'মিনিট থমকে যেতে বাধ্য করবে পাঠককে।
শান্তনু পাত্র জীবনকে , প্রেমকে দেখেছেন ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিত থেকে। অনন্য সেই অন্তর্দৃষ্টি । প্রেমকেও তিনি উন্মুক্ত আকাশের মতো মুক্ত করে দিতে চান: 'ভ্রমের পিঞ্জরে পড়ে পাখি /খাঁচাকে তার সংসার মনে হয়!' কবিতার থাকে দিব্যদৃষ্টি; শান্তনুর এই কবিতাগুলোয় দিব্যদৃষ্টির সন্ধান পাওয়া গেল।
আমাদের গন্তব্য শান্তি। অমৃতের মতো আনন্দ। আমরা চাঁদে যাচ্ছি, কিন্তু চাঁদের গায়ে ছিটকে লাগছে মানুষের রক্ত। জলে তার প্রতিবিম্ব দেখে ভিতরে ভিতরে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছি আমরা। দুঃখী, বিষণ্ণ, উদ্বিগ্ন মানুষের প্রতিনিধি হয়ে অনিমেষ দেখলেন কালের এই নির্মম সত্যকে, ধরলেন কবিতায়। বেদনাই কবির ব্রহ্মাস্ত্র...
নিস্তব্ধ বসন্ত আসবে একদিন পৃথিবীতে। প্রবীর কোনারের কবিতাগুলো তারই পূর্বাভাস দেয়। মানুষের কাছে পৌঁছে যাক এই আর্তি।
মুজিবরের কবিতা যেন নির্জন প্রান্তরে দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে তারাদের সঙ্গে কথা বলা। রহস্যমেদুর। মরমিয়া এই বার্তালাপ।
অদ্ভুদ ঘোরের মধ্যে লিখছেন স্বপ্নদীপ রায়।সংশয়ের ঘোর। মহামারী জ্বরের ঘোর। সূচিভেদ্য অন্ধকারে পথ হাতড়ানোর ঘোর। ঘুমের ভিতর, স্বপ্নের মধ্যে বিড়বিড় করার মতো পঙক্তিগুলি। যে ইচ্ছে দিনের বেলা পূর্ণ হয় না, অশুভ শক্তির প্রকোপে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে, সেই ইচ্ছেগুলো জুড়ে নিচ্ছেন স্বপ্নে, কবিতায়---কোনো এক মহুয়াজন্মের অপেক্ষায়।
শামীম মনে করেন তিনি ধীরে ধীরে সরে আসছেন নিজের দিকে। নিজের কাছে, নিজের জীবনের কাছে। আত্মার কাছে। আত্মার প্রতি পলের স্পন্দনকে তিনি ধরে রাখছেন কবিতায়। কবিতা হয়ে উঠছে স্বয়ংক্রিয়। স্বয়ং হয়ে উঠছে মহাজাগতিক। ব্যক্তিগত অনুরণন ছড়িয়ে পড়ছে নিখিলবিশ্বে।
বর্ণজিৎ বর্মণ প্রকৃতির কাছে নত হতে চায়। প্রকৃতি অর্থাৎ প্রকৃত। সত্য। যা অকৃত্রিম। ছল-চাতুরিহীন। এই প্রতিশ্রুতি লক্ষ করা যায় বর্ণজিতের কবিতায়। জানগড় সিং শ্যামের ফোক আর্টের মতোই তার কবিতা।
রূপক চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাগুলো হৃদয়-উৎসারিত রচনা--যেন হৃদপিণ্ডে জিভ লাগানো আছে; তাই এক নিমেষের জন্যে উদাসীন হতে দেয় না পাঠককে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধ্রুপদী ভায়োলিনের বিষাদ আছে। চিত্রকল্পগুলি চমকে দেবার ক্ষমতা রাখে। প্রাঞ্জল এবং ইঙ্গিতবাহী। লক্ষণীয়, চলমান এবং চেনা দৃশ্যগুলোকে অদ্ভূত করে তুলতে পারেন তিনি। রূপক শক্তিশালী।