বিধান শীল
উল্কা
তোমাকে দেখলে গুরু গুরু মেঘ ডাকত আকাশের ভেতর
ঘাসের উপর ফড়িংগুলো লাফালাফি করতো মাঠে মাঠে
হলুদ রোদ মেখে প্রজাপতি কথা খুঁজে বেড়াতো ফুলের বনে
নীরব বাতাসের ভেতর ঘন ঘন আসা-যাওয়া করতো ধুকপুকানি শব্দ ।
তোমাকে দেখলে কর্পূরের মতো নিমেষে উবে যেত সব অসুখ
দুঃখগুলো হঠাৎ মালা ছিঁড়ে বায়ু শূন্য পথে হাবুডুবু খেতো একান্তে
এক কোটি স্বপ্ন দু’বিঘা জমিতে চাষ করতাম গোপনে
ফসলের ঘ্রাণে থালা ভর্তি আনন্দ ঝরতো দু’চোখে ।
গোধূলি মেখে মুখোমুখি দাঁড়াই নি কোন বিকেল
দুর্বল জোয়ার অগুনতি ঢেউ শুধু ভিজিয়েছে বালুকারাশি ।
তুমি কোনদিন আমার প্রেমিকা ছিলে না
ভালোবাসি বলি নি কখনো ; তুমিও বলো নি
ভালোবাসি বলা জটিল অঙ্কের মতো
যে কোন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ , একটা শহর ধ্বংসের মতো
কিংবা গলায় আটকে থাকা মাছের কাঁটার মতো বিপজ্জনক
অজস্র আলো কপালে সাজিয়ে নক্ষত্র হতে পারি নি
ধানকলে শস্য পিষতে-পিষতে উঠোনে একলা এসে দাঁড়ায় অন্ধকার রাত ।
আমি দেখি ,
তীব্র গতিতে উজ্জ্বল পোশাক জড়িয়ে মহাশূন্যে থেকে ছিটকে পড়ছে অজস্র উল্কা ।