বঙ্কিমকুমার বর্মন
মা ও শূন্যতা পুরাণ
স্রোতহীন হাঁটু জলে মা সাজিয়েছে নৈঃশব্দ্যৈর নৈবেদ্য থালা
তাতে পূর্ণতা পেয়েছে একেকটি নির্জন অসমাপ্ত দুপুর
যেখানে ও তার ডালপালায় আমরা ঘুরে বেড়াই খেলাচ্ছলে
জলক্রীড়ারত কিছু কিশোর গল্পে আমরা দাপাদাপি করেছি খুব
মা শুধু বারবার আমাদের ডেকে গেছে গরম ভাতের উষ্ণ স্বাদে
কত দুপুর প্রেমে পড়েছে আমাদের বয়সের সাথে
কত সন্ধ্যা চুম্বনে গলে জল হয়ে গেছে চায়ের কাপে
সেখানে মায়ের ছিল অগোছালো ব্যাঙের সংসার
হাতের দশটি আঙুলে ছিল সহজ পাঠের প্রস্তাব গুলো
একেকটি আঙুলে জড়িয়ে গিয়েছে পুরোনো বইয়ের মলাট-গন্ধ
যেখানে আমারা রাতদুপুরে সাঁতার কেটেছি আঁকিবুকি কেটেছি
সেই প্রচ্ছদে হেঁটে গেছে মায়ের ক্ষয়ে যাওয়া স্বপ্নেরা
আর ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যায় একেকটি নদীর আয়ুজল
তারপর মা সমস্ত দিনের শেষে পাঠ করে শূন্যতার পুরাণ ।