সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫১ সংখ্যা
by Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫১ সংখ্যা

আজকের রাতটা অন্যান্য রাতের মতো নয় আজ আমি রাস্তা হারিয়ে ফেলেছি নিজের দোষে— এক প্রকার ঘোরে যেমনটা তরুণ কবিদের সঙ্গে হয় আপাতত শুয়ে আছি রাস্তায়, মাছিদের সঙ্গে ভাবছি আকাশের দিকে চেয়ে, যদি কেউ ডাকে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এখনই কবিতা পাঠের মঞ্চে তাহলে কি চারিদিকে রটে যাবে কবির অপমৃত্যু? ভয় নেই প্রজাপতি এখনই মরব না, শূন্যের পথে কোনও প্রকার গাড়ি চলে না!

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫১ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫০ সংখ্যা

সুরেশ দাদু অন্ধ। সুরেশ দাদু ঠেলাচালক। সুরেশ দাদুর ঘরে দ্বিতীয়া স্ত্রী, কন্যাশিশু। সুরেশ দাদুর বয়সের ভারে ন্যুব্জ। সুরেশ দাদু সারাদিন ঠেলা চালান। সুরেশ দাদু সারাবছর আমাদের বাড়ির চাল বহন করেন। কুইন্টাল কুইন্টাল চাল আসে বাড়িতে। প্রতিদিন ডিবি ডিবি চাল যায় ডেগে। সুরেশ দাদু অন্ধ। সুরেশ দাদুর উনানও অন্ধ। সেখানে আগুন জ্বলে না। তিনবেলা খিদে জ্বলে। বাবা চাকুরি হওয়ার পর আমাদের বাড়িকে লুকিয়ে সুরেশ দাদুকে প্রতিমাসে কিছু পয়সা দিতেন। সুরেশ দাদু দু'হাত তুলে বলতেন, ‘ঠাকরব্যাটা তোমার নাও শুকনা বায় দি যাইবো।’ বাবার লজ্জা লাগত। আমার আরো বেশি লজ্জা লাগত। নাও আবার শুকনো যায়গায় চলে নাকি? নাও বাইতে জল লাগে। স্রোত লাগে। সুরেশ দাদু সত্যিই অন্ধ। কিছুই দেখতে পান না। নাও বিষয়ে কিছুই জানেন না। আমি আরো লজ্জায়

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫০ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৯ সংখ্যা

অযথা খিদের কথা বোলো না, রাধিকে পাউরুটি চায়ে চুবিয়ে চুবিয়ে খেলে পেট ভরে থাকে অম্বলে ও গ্যাসে অযথা জলের কথা বোলো না জল মানে মাড়ি মারি এই বেঁচে থাকা তোলাবাজি বলে মনে হয় প্রতিদিন গাঁইতি শাবল হাতে নীচে নেমে নেমে যেতে হয় বহু ক্রোশ হাঁটাহাঁটি করে ভাবি না কিছুই প্রতিরাতে, ঘুম নয়, ক্লান্তিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকি…

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৯ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৮ সংখ্যা

লোকজন ভাবনা চিন্তার ভুলে হতাশ হয়ে নানান কথা বলে, বলে, "এটা কলিকাল রে ভাই,                                এখন আর সত্যি বলে কিছু নেই !               দুনিয়াটা একেবারে মিথ্যেতে ভরে গেছে!"            সত্যি বিষয়ে আমার এরকম কোনো হতাশা নেই।     সব জায়গাতেই তো সত্যি আছে,                                   জলজ্যান্ত সত্যি আছে। আমরা সবাই দেখি,                         ভোর হলে পাখিরা ডাকাডাকি করে,   সন্ধ্যে থেকে কিছুই খায় নি,                                 এখানে ওখানে খাবার খুঁজতে যায়।  এসবই তো সত্যি।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৮ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৭ সংখ্যা

প্রহর গড়িয়ে যায়, মন্দগতি, অন্ধকারে একা একা আর মাঝেমাঝে ইদানীং রচনার অনুর্বর কালে জেগে গিয়ে দেখি দূর আকাশে অনিদ্রা লেগে আছে আমাদের যাবতীয় ব্যর্থতার মতো। সাফল্য কে মেপে দেখে গর্হিত গর্বিত ইহলোকে! ব্যর্থতাই পরিমাপযোগ্য আর শীতল সম্ভ্রান্ত, ব্যর্থতাই আদি সর্বসম্মতির ঘোর সুলক্ষণ বলে জানি, ব্যর্থতাই চিরযাপনীয়।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৭ সংখ্যা