You are currently viewing সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৭৬ সংখ্যা
ঋণ: এডওয়ার্ড মানে

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৭৬ সংখ্যা

প্রকৃত কবিতা ঝাঁকুনি দেয়। সম্মোহিত করে। আমাদের চেতনায় গ্রামোফোনের পিনের মতো দাগ কাটে । পৃথা চট্টোপাধ্যায় এই সম্মোহন বিদ্যা যথার্থই জানেন। জানলে সরল সরলবর্গীয় বাঁশের বাঁশিই যথেষ্ট।

…কবিতা আশ্রম

পৃথা চট্টোপাধ্যায়

পৃথা চট্টোপাধ্যায় কবিতা

পরিযায়ী পাখিরা এসেছে
আবার জলের বুকে লেখা হবে প্রেম
আদরের পাখনায় পাণ্ডুলিপি লিখে
বৃষ্টিরাতে কারা যেন ধুয়ে নেয় বিরহী আঁচল
রোদের আতর মেখে এ পৃথিবী ডুবে যায় দ্রাক্ষারসে
আবার নতুন করে সোনালী শস্যের দিন শুরু

কোন এক অভিমানে অন্ধকার হয়ে আসে মুখ
কথা নেই বার্তা নেই অমন চিবুক
দু’চোখের জলে ভেসে যায়
এইসব হেমন্তের প্রেম ছাতিমের গন্ধে মিশে
আরো বেশি এলোমেলো কুয়াশায় ঘন
সুবর্ণ নারীর মত উন্মাদিনী এক দীক্ষা চায়

নীলাভ ধূসর চোখ অশ্রুমতী প্রেয়সী তোমার
স্তব্ধ প্রহরায় জেগে থাকে হেমন্তের রাতে
পৃথিবীর আহ্নিক গতিতে আবহমানের আসা-যাওয়া
কার জন্য দূরাগত সবুজের মায়া
সময়ের দীর্ঘ ক্ষয় বিমোহিত লাজুক দুচোখ
কী করে ভুলবে তুমি রাজার কুমার
সেই রাত্রি নির্জনতা স্বর্গীয় পরশ
এইসব মুহূর্তের সুখ নৈশ আঁধারের পাড়ে ডুবে যায় মুখ

তবু কেউ বসে থাকে জলের আশায়
অলৌকিক দিন কখনো আসে না আর
সেই বাঁশি বাজায় না কেউ
ওই পারে বালিয়াড়ি হৃদয়হীনের মত ছড়ানো আকাশ
পুরনো বটের ছায়া চুপ করে থাকে
যন্ত্রদানবের এই পৃথিবীতে আজ কারো অবকাশ নেই
তবুও বাতাস কেটে পাখি আসে
উড়ে আসে নিষ্কলুষ পরিযায়ী প্রেম
অরণ্য উজ্জ্বল মুখে হাসে
আমার শোণিতকথা পাপ-পুণ্য বোধ তোমাকে দিলেম

Leave a Reply