অদ্ভুত আঁধারে আমরা ডুবে আছি। ঘুণপোকার অবিরাম দংশনে বিদীর্ণ হচ্ছে মানবাত্মা। পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজছে গৌতম দত্তের কবিতাগুলো। আলোর উষ্ণ স্পর্শের অপেক্ষায় আছে তারা।
গৌতম দত্ত
বিজ্ঞাপন
কালো পিচরাস্তার ধারে
অব্যবহৃত
শিশু পায়ের কয়েক জোড়া
নতুন জুতো
একটা ছেঁড়া বস্তা কাঁধে
কোথা থেকে ভবা পাগলা
এসে জোটে
আর হাসতে হাসতে
সেগুলো তুলে নিয়ে যায়
চড়ক
ঘরবাড়ি গাছপালা
সব ঘুরছে দেখে
চড়কগাছে চ’ড়ে
গান গায় পবন সহিস
মেঘে মেঘে ভাসে সেই গান
বৃষ্টিপতনের শব্দে
সেই গান শোনা যায়
নিদ্রাহারা
ঘুম ভাঙে না কি স্বপ্ন–
এই প্রশ্ন এখন ভেসে বেড়ায়
ভোরের হাওয়ায়
এই প্রশ্ন নিয়ে
অনাবাদী জমি থেকে
উঠে আসে গরু
হাঁপাতে হাঁপাতে
ছুটে যায় সাইকেল
সব্জীবাজারের দিকে
ঘুম ভাঙে না কি স্বপ্ন–
এই প্রশ্নখণ্ড মুখে নিয়ে
কাড়াকাড়ি করে
রাস্তার কুকুর
আলো
রাত নামছে
নৌকো থেকে নববধূকে
নামিয়ে আনার মতো
তুমি তাকে
নামিয়ে নিয়ে এসো
আঁধারে হারিয়ে যায় মাটি
আঁধারে হারিয়ে যায় নদী
আঁধারে হারিয়ে যায় মন
নববধূর অঙ্গরাগের মতো
তাদেরও সযতনে
নিয়ে এসো তুমি
আমার তুলসীমঞ্চের
এই প্রদীপের আলোয়