সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৬ সংখ্যা
Feature painting: Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৬ সংখ্যা

রাখী সরদারের কবিতা পড়ে আমি অবাক হয়ে যাই। আর‌ও অবাক হয়ে যাই একথা ভেবে, কেন তাঁর কবিতা আরও সমাদৃত হয় না। আমার ধারণা কবিদের বিপুল সমাজ কবিতা পড়ে না। অধিকাংশ‌ই নিজের কবি-পরিচয় ও কবি-দাবিকে ভালবাসে, কবিতাকে নয়। আমার বিশ্বাস, কবিতা পড়তে শেখা আগে জরুরি। নানা জীবনের নানা স্বাদের কবিতা পড়তে না জানলে একজন কীভাবে লিখবে? কবিতার ভাল-মন্দ না চিনলে নিজের লেখার পথ কীভাবে অনুভব করবে? বিষয়টা বুঝি না। যাই হোক, রাখীর কবিতা সবাই পড়ুক, তার মূল্যায়ন হোক, এই আমার কামনা। একদম নতুন প্রজন্মের কবি সোমার কবিতা কেমন লাগল জানাবেন। বিশিষ্ট কবি নির্মল হালদার একজন নতুন কবি (আমার কাছে) সুজনের কবিতা পাঠিয়েছিলেন। এই কবিতা সম্পর্কেও জানাবেন। কবিতা পড়ুন। চর্চা করুন। লিখুন। সবাই সবার খোঁজ রাখুন। স্বপ্ন সব সময় ভাগ করে নিতে হয়।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৬ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৫ সংখ্যা
Feature Painting : Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৫ সংখ্যা

বহির্বঙ্গের কবিতা? এরকম বলা কি ঠিক? বাংলা ভাষায় লেখা যে-কোন‌ও কবিতাই বাংলা কবিতা। এখানে আবার বঙ্গের ভিতর-বাহির কী? আসলে কবিতা রচনার স্থান নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বসবাসকারী বাঙালির কবিতা চর্চাকে বাংলা কবিতার কর্তাব্যক্তিরা অনেকটাই অগ্রাহ্য করেন। বড় অনুষ্ঠানে সাধারণত তাঁদের ডাকা হয় না। পুরস্কারের জন্য তাঁদের নাম বিবেচিত হয় না। কেন? এ প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা নেই। অথচ দেখুন আমাদের সময়ের তিনজন কবি অর্ঘ্য দত্ত (মুম্বাই থাকেন), স্বপ্না বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঙ্গালোর থাকেন), যীশু মিত্র (মুম্বাই থাকেন) কত সম্পন্ন কবিতা লেখেন! নিয়মিত কবিতার রেওয়াজ (পড়া ও লেখা) না করলে এমন কবিতা লেখা যায় না। বরং ভিন্ন ভাষার রাজ্যে বসবাস করে বাংলা কবিতা, বাংলা সংস্কৃতি চর্চা একটা কঠিন লড়াই। এই কবিরা বাংলা ভাষার বিশেষ যোদ্ধা। বিশেষ ভালবাসা অবশ্যই তাঁদের ন্যায্য পাওনা।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৫ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৪ সংখ্যা
By Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৪ সংখ্যা

একটা বইয়ের থেকে আরেকটা বইয়ের দূরত্ব কতটা হলে, উচাটন আসে অক্ষরের পাতে , ভয় বা আনন্দে কেঁপে কেঁপে ওঠে ভেতরমহল একথা সঠিক জানে আলো আর অন্ধকারে ভরা বইয়ের তাক ধরো, কথামৃতের পাশে যুদ্ধের কৌশল নিয়ে ভাবতে ভাবতে পাইপ ধরিয়েছে অনন্ত গেরিলা, চে গুয়েভারা কথামৃত সারারাত শুনেছে অস্ত্রের ঝনঝনানি, ঘোড়ার খুরের শব্দ সকালে মিইয়ে পড়া তার অমৃত লিপিরা চাইছে, কেউ এসে নিয়ে যাক মৃত্যুর হুংকার আর কটু গন্ধ তামাকের

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৪ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৩ সংখ্যা
By Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৩ সংখ্যা

কীভাবে কবিতা জন্মায়, তার জন্মলগ্নে কি মাথার ভেতরে অজস্র ঝুমঝুমি বাজে অথবা মন্দিরে ঘণ্টা ধ্বনি? অবচেতনের ভেতর সাত রঙের ময়ূর নেমে পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে, শিরায় বয়ে চলে পারদের নদী? কবিতার অদ্ভুত অমিয় বীজ কীভাবে রোপিত হয় হৃদয়ে, অথবা মস্তিষ্কে? আর তার অঙ্কুরোদ্গম আমাদের ভাবনার অলৌকিক বায়ুমণ্ডলে, না কি চেতনামথিত কোনও লৌকিক বিশ্বের অবিমৃশ্যকারিতায়? আমি মনে করি কবিতা মনোজাগতিক ও মনোদৈহিক এক পীড়নের নাম, এ এক যুদ্ধাবস্থা, এক অন্তহীন কলহ বাস্তবতার সাথে সাইকির, এমনকি দেহকুঞ্জের একটি কুসুম ফুটে ওঠার সেই রক্ত উদ্বেলিত ক্ষণ যখন আর কিছুই না, বাহিরের দুনিয়ার একটু বাতাস এসে আছড়ে পড়ে মনোবাতায়নে, আর ভাবনার জরায়ুতে কবিতার গর্ভাধান হয়। নিজের সঙ্গে নিজের অথবা চারপাশের জগতের ঘাত-প্রতিঘাত থেকে উৎসারিত হয় যে রক্ত ও অশ্রুবিন্দু, যে অজেয় আনন্দ ও বেদনা বিহার তা-ই কবিতা।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৩ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫২ সংখ্যা
Swan song by Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫২ সংখ্যা

সদরবাজার থেকে কিছুদূর উঠে ভ্রামণিক দল ছোটে পাহাড়ের রুটে পাথরের পথে আমি থেমে যাই বেশ এখানে রয়েছে ঢেউ সমূহ-বিশেষ প্রিয় এক মানুষের মুখ। গান তার আলো মেখে ছড়িয়েছে ভোরে বাঁশি থেকে ছড়িয়েছে বিষাদের সুর ব্যাঞ্জো বেজেছে খুব দু'হাতের জোরে এখানেই রাত জেগে গানে নেশাতুর… পাহাড় দেখতে এসে, যার টানে, বনেছি বেকুব!

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫২ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫১ সংখ্যা
by Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫১ সংখ্যা

আজকের রাতটা অন্যান্য রাতের মতো নয় আজ আমি রাস্তা হারিয়ে ফেলেছি নিজের দোষে— এক প্রকার ঘোরে যেমনটা তরুণ কবিদের সঙ্গে হয় আপাতত শুয়ে আছি রাস্তায়, মাছিদের সঙ্গে ভাবছি আকাশের দিকে চেয়ে, যদি কেউ ডাকে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এখনই কবিতা পাঠের মঞ্চে তাহলে কি চারিদিকে রটে যাবে কবির অপমৃত্যু? ভয় নেই প্রজাপতি এখনই মরব না, শূন্যের পথে কোনও প্রকার গাড়ি চলে না!

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫১ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫০ সংখ্যা

সুরেশ দাদু অন্ধ। সুরেশ দাদু ঠেলাচালক। সুরেশ দাদুর ঘরে দ্বিতীয়া স্ত্রী, কন্যাশিশু। সুরেশ দাদুর বয়সের ভারে ন্যুব্জ। সুরেশ দাদু সারাদিন ঠেলা চালান। সুরেশ দাদু সারাবছর আমাদের বাড়ির চাল বহন করেন। কুইন্টাল কুইন্টাল চাল আসে বাড়িতে। প্রতিদিন ডিবি ডিবি চাল যায় ডেগে। সুরেশ দাদু অন্ধ। সুরেশ দাদুর উনানও অন্ধ। সেখানে আগুন জ্বলে না। তিনবেলা খিদে জ্বলে। বাবা চাকুরি হওয়ার পর আমাদের বাড়িকে লুকিয়ে সুরেশ দাদুকে প্রতিমাসে কিছু পয়সা দিতেন। সুরেশ দাদু দু'হাত তুলে বলতেন, ‘ঠাকরব্যাটা তোমার নাও শুকনা বায় দি যাইবো।’ বাবার লজ্জা লাগত। আমার আরো বেশি লজ্জা লাগত। নাও আবার শুকনো যায়গায় চলে নাকি? নাও বাইতে জল লাগে। স্রোত লাগে। সুরেশ দাদু সত্যিই অন্ধ। কিছুই দেখতে পান না। নাও বিষয়ে কিছুই জানেন না। আমি আরো লজ্জায়

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫০ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৯ সংখ্যা

অযথা খিদের কথা বোলো না, রাধিকে পাউরুটি চায়ে চুবিয়ে চুবিয়ে খেলে পেট ভরে থাকে অম্বলে ও গ্যাসে অযথা জলের কথা বোলো না জল মানে মাড়ি মারি এই বেঁচে থাকা তোলাবাজি বলে মনে হয় প্রতিদিন গাঁইতি শাবল হাতে নীচে নেমে নেমে যেতে হয় বহু ক্রোশ হাঁটাহাঁটি করে ভাবি না কিছুই প্রতিরাতে, ঘুম নয়, ক্লান্তিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকি…

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৯ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৮ সংখ্যা

লোকজন ভাবনা চিন্তার ভুলে হতাশ হয়ে নানান কথা বলে, বলে, "এটা কলিকাল রে ভাই,                                এখন আর সত্যি বলে কিছু নেই !               দুনিয়াটা একেবারে মিথ্যেতে ভরে গেছে!"            সত্যি বিষয়ে আমার এরকম কোনো হতাশা নেই।     সব জায়গাতেই তো সত্যি আছে,                                   জলজ্যান্ত সত্যি আছে। আমরা সবাই দেখি,                         ভোর হলে পাখিরা ডাকাডাকি করে,   সন্ধ্যে থেকে কিছুই খায় নি,                                 এখানে ওখানে খাবার খুঁজতে যায়।  এসবই তো সত্যি।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৮ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৭ সংখ্যা

প্রহর গড়িয়ে যায়, মন্দগতি, অন্ধকারে একা একা আর মাঝেমাঝে ইদানীং রচনার অনুর্বর কালে জেগে গিয়ে দেখি দূর আকাশে অনিদ্রা লেগে আছে আমাদের যাবতীয় ব্যর্থতার মতো। সাফল্য কে মেপে দেখে গর্হিত গর্বিত ইহলোকে! ব্যর্থতাই পরিমাপযোগ্য আর শীতল সম্ভ্রান্ত, ব্যর্থতাই আদি সর্বসম্মতির ঘোর সুলক্ষণ বলে জানি, ব্যর্থতাই চিরযাপনীয়।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৪৭ সংখ্যা