সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৬ সংখ্যা

সেই কবিতাই সৎ, যে কবিতা পড়লে কবির শ্রেণি-অবস্থান বোঝা যায়। বানিয়ে লেখা কবিতার কোন‌ও অবস্থান‌ই নেই, তো তার শ্রেণি থাকবে কী করে? তুমি যা না, তা সেজো না কবিতায়। তুমি যা, তা-ই তোমার কবিতা। গায়ের জোরে পুঁজির জোরে প্রচারিত হওয়া যায়, কিন্তু প্রতিষ্ঠা পাওয়া যায় না। কারণ কবিকে প্রতিষ্ঠা দেয় কবির মৃত্যু-পরবর্তী সময়। যারা বানিয়ে কবিতা লেখে, তারা কবিতাকে সময়-অতিক্রমকারী ডানা দিতে অক্ষম। ডানাহীন কবিতা পত্রিকা বা ব‌ইয়ের পাতায় (বা ফেসবুকে) মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। কী নির্মম দৃশ্য!

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৬ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৫ সংখ্যা

মাফিয়ারা কতবার খুন করেছে আমাকে! অস্তিত্ব মরেনি গাছের মতোই জেনো তুমিও অমর, মৃত্যুর ওপারে যদি বাংলাভাষা 'কবি' বলে ডাকে…

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৫ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৪ সংখ্যা
By Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৪ সংখ্যা

বাংলা কবিতার বাতাসে চুপচাপ মিশে আছেন তৈমুর খান। চুপচাপ, কিন্তু নাছোড়। নাছোড়, কিন্তু দাবিহীন। আর দাবিহীন মানুষের ভালবাসার তুলনা হয় না কখনও। ঢাকঢোল‌ওয়ালা মৃত কবিদের ভিড়ে তৈমুর একজন জীবিত, জাগ্রত কবি। প্রমাণ এই সাম্প্রতিক তিনটি কবিতা। পারমিতা ভট্টাচার্য অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত, কিন্তু শক্তিশালী কবি। কবিতা প্রকাশে তাঁর অনীহাকে সম্মান করি। কারণ অনেক অপেক্ষার পর যখন‌ই তাঁর কবিতা কোথাও প্রকাশিত হয়, পড়ে দেখি মননে নির্মাণে যথারীতি সেগুলি নিখুঁত কবিতা। পারমিতার এই সংখ্যার কবিতাগুলিও তাঁর অনুশীলন ও ধ্যানের গভীরতাকে তুলে ধরেছে। শিক্ষা গ্রহণ করি।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৪ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৩ সংখ্যা
By Robin Mondal

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৩ সংখ্যা

কচুপাতায় জলের মতো পিছলে যাওয়া অকিঞ্চিৎকর জীবন, সংগ্রহে দেখানোর মতো কিছু নেই, নেই শীতল পাটির হাসি, নেই কোনও মহার্ঘ্য সিন্দুক, নেই সবুজ পাতায় লিখে রাখা চৌকাঠ, জীবনের সিঁড়ি বেয়ে ওঠার রত্নশোভিত গল্প–কাহিনি, জীবনই যার নেই তার যাপনের আবার কী গল্প, কী কাহিনি!‌ নেই সুখস্মৃতির মখমলবালিশ, নেই আনন্দলিপি, সঞ্চয়ের কোঠায় শুধু এক বিষণ্ণ আকাশ, দুঃখী নদী, রোয়াঁ ওঠা অসুখী দাম্পত্যের শ্বাসরোধকারী ধোঁয়ায় জল থেকে তুলে আনা মাছের মতো খাবি খাওয়া। আলোহীন আশ্রয়হীন পালহীন নৌকোতে এগিয়ে আসেনি সহানুভূতির কোনও ছাতা, ভরসাবৃক্ষছায়া, যতিচিহ্ণহীন ভেসে যাওয়া, একাকীত্বের অসহায় কান্নায় জীবনের রং চটে গেছে, কাটাকুটি খেলার হৃদয়আগুন নেভে না, নেভানোর মতো দেখায়।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬৩ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬২ সংখ্যা
By Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬২ সংখ্যা

রাত্রিকে বলেছি আমি এই বৃষ্টি উত্তাল বাতাস সব মৃত, সামান্য আগুন নেই ছাই ছাই রাত বৃষ্টির আকাশ ঘোর কালো কখনও ইচ্ছে হলে সামান্য সামান্য বিদ্যুৎ চমকালো এই বাতাসে আঘাত নেই তেমন যেখানে জেগে উঠবে প্রাণ খসে পড়বে উল্কা পুড়ে যাবে তারাটি একান্তে এই বৃষ্টি বেঁধে রয়েছে নিজস্ব পরিসীমাতে। এই বৃষ্টি মৃত। মৃত এই নিন্মচাপ। যে হাত ধরেনি, যে জানেই না গর্জন চিৎকার সমুদ্রগর্ভের কুণ্ডলী পাকানো জল মেঘ হয়ে ওঠে কোন পথে সে-বৃষ্টির প্রাণ নেই প্রাণ নেই যে থামেনি মানুষের সংকটে…

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬২ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬১ সংখ্যা
Feature Painting: Raja Ravi Varma

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬১ সংখ্যা

কবিতাই তাঁর জীবন। আলাদা করে ইস্যু ভিত্তিক কিছু লিখতে হয় না তাঁকে। তিনি ধারণ করেন পুরুলিয়ার প্রকৃতি। তিনি ধারণ করেন লড়াকু মানুষের ভালবাসা, বিষণ্ণতা, ঘুরে দাঁড়ানো। উত্তাল সময় উঠে এসেছে নির্মল হালদারের নতুন কবিতায়। যেন একটা পাগলা হাওয়া গাছের কানে কানে কিছু বলে যায়। কবি এই পর্যায়ে অনেক কবিতা লিখেছেন। আমরা দশটি কবিতা প্রকাশ করলাম।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬১ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬০ সংখ্যা
ভালোপাহাড়ে কমল চক্রবর্তী

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬০ সংখ্যা

কমল চক্রবর্তী প্রয়াত। কে কমল চক্রবর্তী? সত্তরের বিশিষ্ট কবি? বিখ্যাত ‘কৌরব’ পত্রিকার সম্পাদক? সম্পূর্ণ নতুন ধরনের গদ্যে গল্প-উপন্যাস-নাটক-অরণ্য সাহিত্যের স্রষ্টা? না কি টাটার বড় চাকরি ছেড়ে সমমনের বন্ধুদের সহযোগিতায় লক্ষ গাছের অরণ্যভূমি ‘ভালোপাহাড়’-এর জন্মদাতা প্রকৃতিবান্ধব? কমল চক্রবর্তী এক বিস্ময়। তাঁর ছিল প্রকৃত ‘বেঁচে থাকা’। জীবনের নানা পর্বে যেমন চেয়েছেন, তেমনভাবে বেঁচেছেন। ‘ভালোপাহাড়’ পর্বে কেবল প্রকৃতি ও বৃক্ষ নয়, অবহেলিত সাধারণ মানুষের সহায় হয়ে উঠেছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। জীবনবিশ্বাস ও সাহিত্য এক ছিল তাঁর জীবনে। নাগরিক, আত্মকেন্দ্রিক, ভোগবাদী জীবনের বিপরীতে তিনি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলেন। শিল্পী-সাহিত্যিকদের জীবন এমন হ‌ওয়াই উচিত। আমাদের সৌভাগ্য, ‘কবিতা আশ্রম’ পত্রিকা তিনি পছন্দ করতেন। আমরা তাঁর দেখানো পথেই চলব। প্রকৃতির জন্য বাঁচব। বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াব। ভালবাসা শব্দকে ক্রমশ অনেক অনেক বড় করব সবাই।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৬০ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৯ সংখ্যা
By Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৯ সংখ্যা

চিত্রকর হিটলার বলল: প্রিয় জনগণ তোমাদের জন্য এই কাজটি আমি করতে চাই। সে সদ্য গোলা এক গামলা চুনকাম নিয়ে জার্মানির ঘরবাড়ি নতুন করে রাঙাল। জার্মানির সঅঅঅব ঘরবাড়ি

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৯ সংখ্যা

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৮ সংখ্যা

আমাদের প্রিয় কবি মলয় গোস্বামী নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো অনর্গল কবিতা রচনা করবার মতো ব্যথা ও সারল্যে বাস করেন এখন। তুমুল ছন্দদক্ষ এই কবি অতীতে বাস্তবতা ও পরাবাস্তবতার অলৌকিক সেতু নির্মাণ করে প্রসিদ্ধ। যদিও বৈষম্যে ভরা সমাজে প্রবল আত্মসম্মান-জ্ঞান-সম্পন্ন এই কবির যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। যাহোক, এসব কবিতার বিষয় নয়, সমাজ-সংসারের বিষয়। কবি তাঁর কবিজন্মের পরিণত রেণু ছড়িয়ে দিয়েছেন এই নতুন কবিতাগুচ্ছে। আলতো করে বলা, তাই গভীরে গিয়ে লাগে।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৮ সংখ্যা
সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৭ সংখ্যা
By Chandan Mishra

সাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৭ সংখ্যা

কবি নির্মল হালদারের কবিতা নিয়ে কিছু বলার যোগ্যতা নেই আমার, আমাদের। কিন্তু আমরা মনে করি তিনি যে জীবনযাপন করেন, সেটাই একজন একশো শতাংশ কবির হ‌ওয়া উচিত। গণমানুষের সঙ্গে মিশে থাকা। কবিতা লেখার বিপন্নতা নিয়ে বাঁচা। কবি হিসেবে নিজেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ দেখানোর তাগিদে ক্ষমতার বা প্রতিষ্ঠানের পা না চাটা। নির্মল হালদারের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর কবিতাই আমাদের অভিবাদনের আকাশমুখো অস্ত্র বা পুজোর ফুল।

Continue Readingসাপ্তাহিক কবিতা আশ্রম ১৫৭ সংখ্যা